কাইকারটেক হাট

শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক এলাকায় প্রতি রবিবার বসে কাইকারটেক হাট (Kaikertek Hat)। স্থানীয়দের কাছে এটি "রবিবারের হাট" নামে পরিচিত। ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত এই হাট কেবল ক্রেতা-বিক্রেতাদের নয়, ভ্রমণপ্রেমীদেরও দারুণ আকর্ষণ করে। নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এখানে ভিড় জমায়।

কাইকারটেক হাটের ঐতিহ্য

এই হাটের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো নৌকার কেনাবেচার প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো ইতিহাস। যদিও সারা বছর হাট বসে, আষাঢ় থেকে আশ্বিন পর্যন্ত চার মাস ধরে এখানে নৌকা কেনাবেচার এক বিশেষ আমেজ থাকে। এই সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতা ভালো মানের নৌকা কেনার জন্য আসেন।

আধুনিক কাইকারটেক হাট

বর্তমানে কাইকারটেক হাটে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্য পাওয়া যায়। নদীর তীরে চঞ্চল হাটের প্রাণবন্ত পরিবেশ, কর্মব্যস্ততা, আর মুখরোচক মিষ্টির স্বাদ নিতে রবিবার কাটানোর জন্য এটি হতে পারে ঢাকার কাছের একটি দারুণ গন্তব্য।

যাওয়ার উপায়

ঢাকার গুলিস্তান থেকে এসি বাস (বোরাক) বা নন-এসি বাস (স্বদেশ/দোয়েল পরিবহণ) ধরে সোনারগাঁও-এর মোগরাপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত আসুন। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে সহজেই কাইকারটেক হাটে পৌঁছানো যায়। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার চাষাড়া থেকে নবীগঞ্জ ঘাট পার হয়ে অথবা মুন্সিগঞ্জ থেকে নৌপথে ট্রলার বা বোট ভাড়া করে সরাসরি হাটে পৌঁছানো সম্ভব।

থাকার ব্যবস্থা

ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দিনে এসে দিনেই ফিরে যাওয়া যায়। তাই থাকার চিন্তা না করলেও চলবে। তবে প্রয়োজনে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রাত কাটানো সম্ভব।

কাইকারটেক হাট একাধারে ঐতিহ্যের ধারক এবং গ্রামবাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীক। সময় পেলে রবিবারে এই জায়গাটি ঘুরে দেখতে পারেন।

কাইকারটেক হাট এর দূরত্ব
ঢাকা থেকে দূরত্ব:
25.09 কিমি
নারায়ণগঞ্জ থেকে
7.8 কিমি
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান
সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সমাধি
ফুলের গ্রাম সাবদি
গোয়ালদি মসজিদ
সোনারগাঁও জাদুঘর
পানাম নগর
হাজীগঞ্জ দুর্গ
সোনাকান্দা দুর্গ
সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট
মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট
মায়াদ্বীপ
ইদ্রাকপুর কেল্লা
বাবা আদম মসজিদ
বারদী লোকনাথ আশ্রম
মেরি এন্ডারসন
রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন
পোলঘাটা সেতু
বাংলার তাজমহল
ষোলআনী সৈকত
মানা বে ওয়াটার পার্ক
অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান

মন্তব্য

এখনো কোনো মন্তব্য নেই

প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!

আপনার মন্তব্য লিখুন