বালাপুর জমিদার বাড়ি (Balapur Zamindar Bari) ঢাকার কাছাকাছি একদিনের ভ্রমণের জন্য একটি চমৎকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। এটি নরসিংদী জেলার পাইকারচর ইউনিয়নের বালাপুর গ্রামে অবস্থিত। মেঘনা নদীর তীরে প্রায় ৩২০ বিঘা জমির ওপর জমিদার নবীন চন্দ্র সাহা নির্মাণ করেন এই দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়ি। এখানে মোট ১০৩টি সুসজ্জিত কক্ষ রয়েছে, যা মোজাইক, ফুল, লতাপাতার নকশায় সজ্জিত। বাড়ির প্রধান ভবনের পূর্ব দিক তিনতলা, উত্তর দিক একতলা, দক্ষিণ দিক দ্বিতল এবং পশ্চিমে একটি বিশাল প্রবেশদ্বারসহ দ্বিতল ভবন রয়েছে। প্রতিটি ভবনেই মনোমুগ্ধকর কারুকার্যের নিদর্শন পাওয়া যায়।
বাড়ির পশ্চিম পাশে রয়েছে একটি পুকুর এবং সান বাঁধানো ঘাট, আর উত্তরে রয়েছে কারুকার্যপূর্ণ দুর্গাপূজার মণ্ডপ। জমিদার বাড়ির পাশে ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। সুনিপুণ স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে বালাপুর জমিদার বাড়ি ইতিহাস ও ঐতিহ্যপিপাসুদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।
বালাপুর জমিদার বাড়ির আশপাশে দর্শনীয় স্থান
জমিদার বাড়ি ছাড়াও আশপাশে ভ্রমণের জন্য রয়েছে আরো কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থান। আপনি চাইলে মেঘনা নদীর তীরে হেঁটে সময় কাটাতে পারেন অথবা পাঁচদোনায় পবিত্র আল-কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদক গিরিশচন্দ্র সেনের বাড়ি, ঐতিহাসিক পারুলিয়া মসজিদ বা লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি পরিদর্শন করতে পারেন।
যাতায়াত ব্যবস্থা:
ঢাকার গুলিস্তানে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে মেঘালয় বাসে চড়ে নরসিংদীর মাধবদী যেতে ভাড়া পড়বে ৯০ টাকা। লোকাল বাসে গেলে ভাড়া হবে ৩০-৪০ টাকা। মাধবদী বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা নিয়ে গরুরহাট সিএনজি স্টেশনে যেতে হবে। সেখান থেকে সিএনজি দিয়ে বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছানো যাবে, জনপ্রতি ভাড়া ২০-৩০ টাকা। চাইলে সরাসরি রিকশায় করেও জমিদার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব।
থাকা ও খাওয়া:
বালাপুর জমিদার বাড়ি ঢাকার কাছাকাছি হওয়ায় দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়, তাই রাত্রিযাপনের প্রয়োজন হয় না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে মাধবদীতে থেকে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। খাওয়ার জন্য মাধবদীর বিভিন্ন খাবার হোটেলে স্বল্পমূল্যে ভাত, মুরগির মাংস, খাসির মাংস, সবজি, ডাল এবং বিরিয়ানি পাওয়া যায়।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!