ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে সড়কপথে নির্বিঘ্ন যোগাযোগের জন্য মেঘনা নদীর উপর নির্মিত অত্যাধুনিক সেতুর নাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু। ১৯৯৯ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০০২ সালে এটি সম্পন্ন হয়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য ১.২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৯.৬০ মিটার। সেতুটিতে রয়েছে ৭টি ১১০ মিটার স্প্যান এবং ২টি ৭৯.৫ মিটার স্প্যান। আগে সেতুটির নাম ছিল বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, তবে ২০১০ সালে এটি পরিবর্তন করে বর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নামকরণ করা হয়। যদিও স্থানীয়দের কাছে এটি ভৈরব ব্রিজ নামে পরিচিত। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে মেঘনা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি নৌযান ও জেলেদের কর্মব্যস্ততাও দেখা যায়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু বা ভৈরব ব্রিজের পাশেই ১৯৩৭ সালে নির্মিত রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু বা হাবিলদার আব্দুল হালিম রেল সেতু অবস্থিত। বর্তমানে এখানে একটি নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে মেঘনা নদীর তীরে প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী আসেন। নদী তীরকে প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে, ফলে এটি মুক্ত হাওয়ায় সময় কাটানোর জন্য এক জনপ্রিয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যায় সেতুর সমস্ত বাতি জ্বলে উঠলে, নদীর তীর থেকে সেতুটি সবচেয়ে সুন্দর দেখায়।
কিভাবে যাবেন
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা সদরের দূর্জয় মোড় থেকে রিকশায় চড়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এবং রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতুর নিচে পৌঁছানো যায়।
ঢাকা থেকে ভৈরব
ঢাকা থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী বাসে চড়ে সরাসরি ভৈরব শহরের দূর্জয় মোড়ে আসা যায়। তবে ট্রেনে চড়ে ঢাকা থেকে ভৈরব আসা আরো সুবিধাজনক। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট এবং কিশোরগঞ্জ রুটে চলাচলকারী ট্রেনে সহজেই ভৈরব পৌঁছানো যায়। এরপর ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে রিকশা ভাড়া করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু যাওয়া সম্ভব।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!