বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদী ধরলা, যার পাড়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি সুন্দর পার্ক তৈরি করেছে। দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে বিস্তৃত মদনের মাঠ, যা স্থানীয়দের কাছে বেশ পরিচিত। কুড়িগ্রামের পাশেই ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদ মিলিত হয়েছে, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। কুড়িগ্রাম শহরের সঙ্গে নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সংযোগ নিশ্চিত করতে নির্মিত হয়েছে পরিচিত "ধরলা ব্রিজ"। বিকেল বেলা নদীর পাড়ে হাঁটা, নৌকাভ্রমণ কিংবা মনোরম সূর্যাস্ত উপভোগ করতে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে ভিড় করেন।
দ্বিতীয় ধরলা সেতু (শেখ হাসিনা ধরলা সেতু)
লালমনিরহাটের কুলাঘাট ও ফুলবাড়ীর শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের রামপ্রসাদ এলাকায় ২০১৪ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধরলা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৮০ মিটার প্রস্থের এই সেতুতে রয়েছে ১৯টি স্প্যান, যা এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধা আরও বাড়িয়েছে। প্রথম ধরলা ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৬৪৮ মিটার, যা দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
কিভাবে যাবেন ধরলা ব্রিজ
ধরলা ব্রিজ ঘুরতে চাইলে প্রথমে কুড়িগ্রাম শহরে পৌঁছাতে হবে। ঢাকার আসাদগেট, কল্যাণপুর ও গাবতলি থেকে নাবিল, হক স্পেশাল, হানিফ, তানজিলা বা এনার বাসে সরাসরি কুড়িগ্রাম যাওয়া যায়। এসি ও নন-এসি বাসের ভাড়া ৯৫০ থেকে ১৪০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এছাড়া কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস বা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি কুড়িগ্রাম পৌঁছানো যায়। ট্রেনের টিকিটের মূল্য শ্রেণিভেদে ৬৪০ থেকে ২১৯৭ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কুড়িগ্রাম শহরে নেমে অটোরিকশা বা রিকশায় সহজেই ধরলা ব্রিজে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
কুড়িগ্রামে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। হোটেল অর্ণব প্যালেস, হোটেল ডিকে ও হোটেল মেহেদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আরামদায়ক থাকার ব্যবস্থা দেয়।
খাবারের ব্যবস্থা
খাবারের জন্য কুড়িগ্রামের শাপলা মোড়ে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি বা এশিয়া হোটেল বেশ জনপ্রিয়। ধরলার পাড়ে ঘুরতে গিয়ে সাজুর দোকানের চা আর মুচমুচে চপ খাওয়ার মজাই আলাদা।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!