বরগুনা শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হলো বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে নৌকার সম্পর্ক হাজার বছরের পুরনো। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নৌকার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বরগুনায় এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জাদুঘরের বিশেষত্ব
এই জাদুঘরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া এবং বর্তমানে প্রচলিত নৌকার প্রতিকৃতি ও তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এটি বরগুনায় আসা পর্যটকদের আকর্ষণের একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
জাদুঘরে কী দেখবেন?
বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরের মূল ভবনটি ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের, যা দেখতে সম্পূর্ণ একটি নৌকার আদলে তৈরি। এখানে বাংলাদেশর বিভিন্ন অঞ্চলের ১০০ প্রকারের বিলুপ্তপ্রায় ও প্রচলিত নৌকার রেপ্লিকা, ইতিহাস ও তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নৌকা হলো:
- ডিঙি, একমালাই, পানসি, গয়না, কেরায়া, কোষা, কোন্দা, ঘাসি, সাম্পান, লম্বাপাদি, কাঠামি বা রপ্তানি, বাচারি, পাতাম, বাইচের নৌকা ইত্যাদি।
এছাড়াও জাদুঘরে রয়েছে—
✅ নৌকা গবেষণা কেন্দ্র
✅ পাঠাগার
✅ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার
✅ শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড
✅ থ্রিডি থিয়েটার
✅ খাবারের দোকান
প্রবেশ মূল্য ও সময়সূচি
- শিক্ষার্থীদের জন্য: ১০ টাকা
- সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য: ২০ টাকা
- সময়সূচি:
- রবিবার - বৃহস্পতিবার: দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা
- শুক্র ও শনিবার: সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা
প্রবেশ টিকিট জাদুঘরের প্রবেশ পথেই পাওয়া যায়।
কিভাবে যাবেন?
বরগুনা শহরের যেকোনো জায়গা থেকে স্থানীয় পরিবহনে সহজেই বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর পৌঁছানো যায়।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
জাদুঘর পরিদর্শনের পাশাপাশি বরগুনার আরও কিছু দর্শনীয় স্থানে ঘুরে দেখতে পারেন, যেমন—
📍 টেংরাগিরি ইকোপার্ক
📍 শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত
📍 লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত
📍 হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র
📍 বিবি চিনি মসজিদ
সময় করে এইসব স্থানে ভ্রমণ করলে বরগুনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের আরও গভীর অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে!
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!