প্রাকৃতিক বন ও সাগরের মোহনায় মুগ্ধ হওয়ার জন্য দক্ষিণ বরগুনা জেলার হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র (Haringhata Tourist Spot) ঘুরে আসতে পারেন। এই স্থানটি সুন্দরবনের একটি অংশ, যেখানে নানা রকম গাছ ও বন্যপ্রাণীর বিচরণ দেখা যায়। হরিণঘাটা বনের পাশ দিয়ে বলেশ্বর, বিষখালি এবং পায়রা নদী বয়ে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির শান্ত পরিবেশে পাখির কলতান ও হরিণ, বানর, শূকরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণীর দেখা মিলবে। এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ওয়াচ টাওয়ারও রয়েছে।
বনের ভেতর দিয়ে তৈরি রাস্তা ধরে নদীর ধারে যাওয়া যায়। পর্যটকরা বোটে চড়ে বন ঘুরে দেখতে পারেন। এছাড়া তিন নদীর মোহনায় সমুদ্রের জলে গা ভিজিয়ে নিতে পারেন বা বলেশ্বর নদী পাড় হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারেন। হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকেরও ভালো ব্যবস্থা রয়েছে।
হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র থেকে মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, যা আরেকটি দর্শনীয় স্থান।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলি থেকে সরাসরি পাথরঘাটা যাওয়ার বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৭০০-৭৫০ টাকা। এছাড়া বরগুনা বা বরিশালগামী লঞ্চেও যেতে পারেন। বরিশাল থেকে প্রতি ঘন্টায় পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়, যার ভাড়া ১৮০ টাকা। বরগুনার লঞ্চে গেলে কাকচিড়া ঘাটে নেমে মটরসাইকেল ভাড়া করে পাথরঘাটায় পৌঁছাতে পারেন। পাথরঘাটা থেকে বাইকে চড়ে হরিণঘাটা যেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া বরগুনা শহর থেকে হরিণঘাটা যাওয়ার জন্য রিজার্ভ গাড়িও পাওয়া যায়।
থাকার ব্যবস্থা
হরিণঘাটায় রাত্রিযাপনের বিশেষ ব্যবস্থা নেই। তবে পাথরঘাটায় সরকারি ডাকবাংলো ও কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। অথবা বরগুনা শহরে ফিরে এসেও থাকতে পারেন।
খাবারের ব্যবস্থা
হরিণঘাটায় খাবারের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় পাথরঘাটা থেকে প্রয়োজনীয় খাবার কিনে নিয়ে যাওয়াই ভালো। বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় পাথরঘাটার খাবার হোটেলগুলোতে নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!