লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণে অবস্থিত। এটি সুন্দরবনের বরগুনা অংশে অবস্থিত। হরিণঘাটা দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পায়ে হেঁটে গেলে লালদিয়া বন দেখা যায়। এই বনের পূর্ব দিকে বিশখালী নদী এবং পশ্চিম দিকে বলেশ্বর নদী প্রবাহিত হয়েছে। দুই নদী ও সাগরের মোহনায় অবস্থিত এই বনের পূর্ব প্রান্তে রয়েছে একটি ছোট কিন্তু অত্যন্ত সুন্দর সমুদ্র সৈকত। লালদিয়া বনের পাখির কলতান, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাংচিল ও লাল কাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে এক অনন্য প্রশান্তি আনে।
লালদিয়া সমুদ্র সৈকতের পাশেই একটি শুটকি পল্লী রয়েছে। কার্তিক থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এখানে শুটকি প্রস্তুত করা হয়, যা প্রায় ৫০ বছর ধরে চলে আসছে। তবে এখানে উৎপাদিত শুটকির প্রায় ৯০% হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নোট: লালদিয়া থেকে কুয়াকাটা মাত্র ৪৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। সময় থাকলে কুয়াকাটা ঘুরে দেখতে পারেন।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার জন্য সড়ক ও নৌপথ উভয়ই রয়েছে। ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে দ্রুতি পরিবহন, সাকুরা পরিবহন, আবদুল্লাহ পরিবহনসহ বিভিন্ন বাস সার্ভিস বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম.ভি. যুবরাজ-২, এম.ভি. নুসরাত-২, এম.ভি. যুবরাজ-৪ সহ বেশ কিছু লঞ্চ বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চের ডেকের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।
বরগুনা থেকে লালদিয়া বনে যাওয়ার জন্য ট্রলার বা নৌকা ভাড়া করা যায়। অথবা সুন্দরবনের হরিণঘাটা দিয়ে পায়ে হেঁটেও লালদিয়া বন ও সমুদ্র সৈকত দেখা সম্ভব।
কোথায় থাকবেন
রাত্রিযাপনের জন্য বরগুনা সদরে ফিরে আসতে হবে। বরগুনা শহরে থাকার জন্য বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউজ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ
এল.জি.ই.ডি রেস্ট হাউস
পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্ট হাউজ
খামারবাড়ি রেস্ট হাউজ
গণপূর্ত বিভাগ
এ্যাগ্রো সার্ভিস সেন্টার (0448-62728)
সি আর পি রেস্ট হাউজ (0448-62551)
বরগুনা রেস্ট হাউজ (01718-588856)
হোটেল তাজবিন (0448-62503)
হোটেল আলম (0448-62234)
হোটেল মৌমিতা (0448-62842)
হোটেল ফাল্গুনী (0448-62733)
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!