তরুণ প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর লক্ষ্যে ভোলার বাংলাবাজার এলাকায় তোফায়েল আহমেদ ট্রাস্টি বোর্ডের উদ্যোগে স্বাধীনতা জাদুঘর (Shadhinota Jadughor) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রখ্যাত স্থপতি ফেরদৌস আহমেদ প্রায় এক একর জমির উপর এই আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রটি ডিজাইন করেছেন। এই জাদুঘরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্পূর্ণ ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও, এখানে তথ্যভিত্তিক ভিডিও এবং দুর্লভ ছবির সংগ্রহ রয়েছে, যা দেখে বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাওয়া যায়।
স্বাধীনতা জাদুঘরের প্রথম তলায় বঙ্গভঙ্গ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, দেশভাগ এবং ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর ধারাবাহিক ইতিহাস প্রদর্শিত হয়েছে। দ্বিতীয় তলায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অর্জনের সাক্ষী এবং জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদের সংগ্রামী জীবনের গল্পও এখানে রয়েছে।
কিভাবে যাবেন
ভোলায় যাওয়ার জন্য সড়ক ও নৌপথ দুটি মাধ্যমই রয়েছে। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম.ভি ভোলা, এম.ভি সম্পদ, এম.ভি কর্ণফুলী, এম.ভি ফারহান ইত্যাদি লঞ্চ ভোলার উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। সড়কপথে ভোলা যেতে চাইলে প্রথমে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর আসতে হবে। লক্ষ্মীপুর থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২টায় সী-ট্রাক ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
কোথায় থাকবেন
ভোলার সদর রোডে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে হোটেল জেড ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল আফরোজ, হোটেল হাবিব, হোটেল রয়্যাল প্যালেস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ভোলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
স্বাধীনতা জাদুঘর ছাড়াও ভোলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মনপুরা দ্বীপ, চর কুকরি মুকরি, জ্যাকব টাওয়ার, নিজাম হাসিনা মসজিদ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!