চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের জঙ্গল পশ্চিম-পট্টি মৌজায় ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সবুজ পাহাড় আর নৈসর্গিক প্রকৃতির মধ্যে অবস্থিত এই ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য কেবল জ্ঞানের কেন্দ্র নয়, এটি জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ একটি স্থানও। দেশের বৃহত্তম এই বিশ্ববিদ্যালয় ১,৭৫৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে এখানে ১০টি অনুষদের আওতায় ৫৪টি বিভাগে ২৭,৮৩৯ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ৮৭২ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু, ১২টি আবাসিক হল, ৩.৫ লক্ষাধিক বইয়ের গ্রন্থাগার, মসজিদ, ক্যাফেটেরিয়া, জিমনেশিয়াম, মেডিকেল সেন্টার, শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্য। এখানে ৩টি পৃথক জাদুঘর এবং পাহাড়ি ঝর্ণাও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন দুইটি শাটল ট্রেন চলাচল করে, যা প্রায় ১০,০০০ শিক্ষার্থী বিনামূল্যে ব্যবহার করে।
কীভাবে যাবেন
চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন মোড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। সেখান থেকে বাস বা সিএনজি-তে চড়ে সহজেই পৌঁছানো যায়। এছাড়া বটতলি রেলওয়ে স্টেশন থেকে শাটল ট্রেনেও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করা যায়।
কোথায় থাকবেন
চট্টগ্রাম শহরের ষ্টেশন রোড, জিইসি মোড় এবং আগ্রাবাদ এলাকায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হোটেলগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- হোটেল স্টার পার্ক
- হোটেল ডায়মন্ড পার্ক
- হোটেল মিসখা
- হোটেল হিল টন সিটি
- এশিয়ান এসআর হোটেল
- হোটেল প্যারামাউন্ট
- হোটেল সাফিনা
- হোটেল সিলমন।
খাওয়া-দাওয়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বেশ কয়েকটি সুলভ মূল্যের খাবার হোটেল রয়েছে, যেমন ভাতঘর, ঢাকা হোটেল এবং মওয়ের দোকান। এছাড়া চাইলে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে গিয়ে পছন্দমতো খাবার উপভোগ করতে পারেন।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!