১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ সাতজন শহীদের একজন ছিলেন মোঃ রুহুল আমিন। তাঁর স্মৃতিকে সম্মান জানাতে, ২০০৮ সালের ২০ জুলাই নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাগপাচড়া গ্রামে (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) প্রতিষ্ঠা করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ এই জাদুঘরে রয়েছে সুসজ্জিত লাইব্রেরি, অফিস ও অভ্যর্থনা কক্ষ।
জীবন ও শিক্ষা
১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন বীরশ্রেষ্ঠ মোঃ রুহুল আমিন। তাঁর পিতা আজাহার পাটোয়ারী ও মাতা জুলেখা খাতুন। বাগপাচড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করে, পরে ১৯৪৯ সালে আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদত্ব
রুহুল আমিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান "বীরশ্রেষ্ঠ" উপাধিতে ভূষিত হন। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের নাম রাখা হয়েছে বিএনএস রুহুল আমিন।
কিভাবে যাবেন?
নোয়াখালী জেলা সদর (মাইজদী) থেকে:
- বাস বা সিএনজিতে সোনাইমুড়ী আসার পর রিকশা বা ইজিবাইকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে গিয়ে পৌঁছানো যাবে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে।
ঢাকা থেকে নোয়াখালী (বাসে):
- সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল: একুশে এক্সপ্রেস, মুনলাইন এন্টারপ্রাইজ, হিমাচল এক্সপ্রেস
- ধানমন্ডি জিগাতলা: একুশে পরিবহন (রাত ১০:২০)
- ভাড়া: নন-এসি ৫০০ টাকা, এসি ৫৫০ টাকা
ঢাকা থেকে নোয়াখালী (ট্রেনে):
- কমলাপুর রেলস্টেশন: উপকূল এক্সপ্রেস (সপ্তাহে ৬ দিন, বিকাল ৩:১০)
- সময়: প্রায় ৬ ঘণ্টা
- ভাড়া: ৩১৫ টাকা
কোথায় থাকবেন?
নোয়াখালীতে থাকার জন্য বেশ কিছু বাজেট-ফ্রেন্ডলি আবাসিক হোটেল রয়েছে। বেশিরভাগ হোটেলেই খাবারের ব্যবস্থা থাকে।
উল্লেখযোগ্য হোটেলসমূহ:
- পুবালি হোটেল
- রয়েল হোটেল
- হোটেল আল মোরশেদ
- টাউন হল
- হোটেল রাফসান
- হোটেল লিটন
- নোয়াখালী গেস্ট হাউস
নোয়াখালী সার্কিট হাউসেও থাকা যেতে পারে, যেখানে নিরাপত্তা ও সাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা হয়।
Aktar hosen
ভ্রমণকারীঅনেক কিছুই জানতে পারলাম।