শেরপুর জেলা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে গারো পাহাড় সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া এলাকায় অবস্থিত পানিহাটা ও তারানি গ্রামের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের কাছে পানিহাটা-তারানি পাহাড় নামে পরিচিত। তারানি পাহাড়ের উত্তরে মেঘের মোড়ে ঢাকা ভারতের তুরা পাহাড় দেখা যায়। তুরা পাহাড়ের দূরের টিলাগুলো যেন মেঘের রাজ্যে মিতালি করে চারপাশে এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তুরা অববাহিকা থেকে পশ্চিম দিকে বয়ে চলেছে পাহাড়ী ভোগাই নদী, যার স্বচ্ছ পানির নিচে রোদের আলোয় চকচক করা নুড়ি পাথর আর চারপাশে সবুজে মুড়ে থাকা পাহাড়ের দৃশ্য এক অদ্ভুত সৌন্দর্য তৈরি করেছে।
তুরা নদীর পাশে খ্রিষ্টানদের উপসানালয়, একটি ছোট চিকিৎসা কেন্দ্র, বিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের আবাসিক হোস্টেল রয়েছে। প্রকৃতির সাথে মিলিত হয়ে মেঘ ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর বহু পর্যটক এই অঞ্চলে আসেন।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে শেরপুর জেলা শহরে না গিয়ে নকলা উপজেলা থেকে নালিতাবাড়ি হয়ে পানিহাটা-তারানি পাহাড় যাওয়া সহজ। শেরপুর জেলা থেকে ২১ কিলোমিটার এবং নালিতাবাড়ি উপজেলা থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে এই স্থান অবস্থিত। নালিতাবাড়ির গড়কান্দা চৌরাস্তা মোড় থেকে নাকুগাঁও স্থলবন্দর হয়ে পূর্ব দিকে মোড় নিয়ে ভোগাই ব্রিজ পার করতে হবে। এরপর ৩ কিলোমিটার এগিয়ে চায়না মোড় থেকে উত্তর দিকে ১ কিলোমিটার হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন পানিহাটা-তারানি পাহাড়ের মূল পয়েন্টে।
কোথায় থাকবেন
নালিতাবাড়ি ও শেরপুরে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। নালিতাবাড়িতে হোটেল মিথুন ইন, নালিতাবাড়ি গেস্ট হাউজ এবং শেরপুরে হোটেল আরাফাত, কাকলি গেস্ট হাউজ, বর্ণালী গেস্ট হাউজ, মোলস্না গেস্ট হাউজ ও হাসেম গেস্ট হাউজ অন্যতম।
কোথায় খাবেন
নালিতাবাড়িতে হোটেল সেহের মল্লিক, ভেট্টো রেস্টুরেন্ট ও হোটেল সৌদিয়া খাবারের জন্য ভালো অপশন। এছাড়া শেরপুরের নিউ মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন মানের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাওয়া যাবে।
শেরপুরের দর্শনীয় স্থান
শেরপুরে মাইসাহেবা জামে মসজিদ, রাজার পাহাড়, মধুটিলা ইকোপার্ক এবং গজনী অবকাশ কেন্দ্র অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!