চুয়াডাঙ্গা শহরের কেন্দ্রস্থলে, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন পুলিশ পার্ক। পুলিশ সুপার রোডে অবস্থিত এই পার্কটি বর্তমানে স্থানীয়দের বিনোদনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শান্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা এই পার্কে রয়েছে নানা রকম আকর্ষণীয় রাইড, একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, ছোট আকারের চিড়িয়াখানা এবং আরও নানা আধুনিক সুবিধা যা দর্শনার্থীদের মন জয় করে নেয়।
এছাড়া এখানে রয়েছে একটি সুসজ্জিত কমিউনিটি সেন্টার ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট যেখানে বিয়ে, জন্মদিন কিংবা সেমিনারসহ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা যায়। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলে বুকিং ও অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন: 01743-383838
ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা যাত্রা
রাজধানী ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। যাত্রার জন্য রয়েছে বাস ও ট্রেন – দুটি মাধ্যমই সুবিধাজনক ও সহজলভ্য।
বাসে চুয়াডাঙ্গা যাওয়া:
ঢাকার গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন ধরনের বাস সার্ভিস চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ভাড়া সাধারণত জনপ্রতি ৬৫০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পড়ে, যা বাসের মান অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। উল্লেখযোগ্য পরিবহন সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে পর্যটক পরিবহন (01719-813004), স্কাই লাইন, পাবনা এক্সপ্রেস (02-9008581) এবং চুয়াডাঙ্গা এক্সপ্রেস।
ট্রেনে চুয়াডাঙ্গা যাওয়া:
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে চিত্রা, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন চুয়াডাঙ্গার দিকে যাত্রা করে। ট্রেনের ভাড়া শ্রেণিভেদে ৪৬৫ থেকে ১,৫৯৩ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
থাকার ব্যবস্থা
চুয়াডাঙ্গা শহরে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেলগুলিতে সাশ্রয়ী দামে রাত্রীযাপন করা যায়। একরাত অবস্থানের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা। শহরের কয়েকটি পরিচিত হোটেলের মধ্যে রয়েছে:
- হোটেল অবকাশ (ফোন: 0761-62288)
- হোটেল আল মেরাজ (ফোন: 0761-62383)
- অন্তুরাজ আবাসিক হোটেল (ফোন: 0761-62702)
- হোটেল প্রিন্স (ফোন: 0761-62378)
খাবারের ব্যবস্থা
পুলিশ পার্কের নিজস্ব রেস্টুরেন্টে থাই, চাইনিজ এবং দেশি খাবারের বেশ ভালো আয়োজন রয়েছে। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি এখানকার খাবারও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে।
চুয়াডাঙ্গা শহরে ঘুরে দেখতে চাইলে পুলিশ পার্ক হতে পারে একটি চমৎকার গন্তব্য। প্রকৃতির সৌন্দর্য আর আধুনিক বিনোদনের সংমিশ্রণে এটি এক অনন্য স্থান।
এখনো কোনো মন্তব্য নেই
প্রথম মন্তব্য করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!